জেনে নিন প্রতিদিন ডিম খাওয়ার উপকার!
কথায় আছে সানডে হো ইয়া মনডে,রোজ খাও আন্ডে।সেদ্ধ হোক কি ওমলেট,সবেতেই ডিম খুবই সুস্বাদু।কিন্তু শুধু স্বাদ নয়,এবার থেকে ডিম খান ডিম খেলে কি কি উপকার পাবেন সেটা যথার্থভাবে জেনে।
ডিমের পুস্তিগুনঃ-
ডিমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা ডিমকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ বানিয়েছে।একটা ডিমে এনার্জি থাকে ১৪৩ ক্যালোরি মতো।আবার কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৭২ গ্রাম মতো,প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম,ফ্যাট থাকে ৯.৫১ গ্রাম।এছাড়া ফসফরাস থাকে ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম,জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম।এইসবই আসলে ডিমের এত পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে।
এবার জেনে নি ডিম কেন উপকারীঃ-
১. এনার্জির জন্য
কাজ করার জন্য তো আমাদের এনার্জির দরকার হয়ই।ডিম খেলে আমরা সহজেই এই এনার্জি পেতে পারি।ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই মূলত আমরা এই এনার্জি বা শক্তি পেয়ে থাকি।ডিমে থাকা ভিটামিন বি আমাদের খাওয়া খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।তাই প্রতিদিন সকালে ডিমসেদ্ধ খেলে আপনি সারাদিন এনার্জেটিক থাকবেন।
২. চোখের সমস্যা সমাধানে
ডিমে থাকে ভিটামিন এ,যা আমাদের চোখের জন্য বেশ ভালো।আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে ভিটামিন এ।তাছাড়া ডিমে থাকা কেরোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা,ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।ছানিও কম হওয়ার দিকে থাকে।
৩. ক্যানসার প্রতিরোধে
ক্যানসার তো এখন প্রায় মহামারী হয়ে গেছে।ঘরে ঘরেই প্রায় এই রোগ।আর এই রোগের চিকিৎসাও এত ব্যয়বহুল যে তা অনেকের সাধ্যের বাইরে।তাই খুব ভালো হয় না যদি ডিম খেয়েই আমরা এই সম্ভাবনা কমাতে পারি!ডিমে থাকা ভিটামিন ই আমাদের কোষে আর ত্বকে থাকা ফ্রি র্যাডিকেল ধ্বংস করে দেয়।তাই ক্যানসার কম হয়।এছাড়াও নতুন কোষ তৈরি হতেও সাহায্য করে থাকে।অ্যাডোলেশন পিরিয়ডে নিয়মিত ডিম খেলে,যেমন সপ্তাহে ৬টি করে,তাহলে ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
৪. পেশীর ব্যথা কমাতে
আজকাল শুধু বয়স হলেই নয়,কম বয়সেই অনেকের পেশীতে ব্যথা হতে থাকে।পেশীর জন্য খুব উপকারী ভিটামিন ডি,যা খুব বেশী পরিমাণে ডিমে পাই আমরা।তাই ডিম খেলে আমাদের পেশী মজবুত হয়।নিয়মিত ব্যায়াম করলে তাই ডিম খেতে বলা হয়।
৫. মেয়েদের শরীরের জন্য
একজন মেয়ের শরীরের জন্য প্রতিদিন ৫০%-৬০% প্রোটিন দরকার হয়,যেটা ডিম থেকেই পাওয়া যায়?ডিমে থাকে ৮০-৮৫ ক্যালোরি যা ৬.৫ গ্রাম প্রোটিনের সমান।তাই সুস্থ থাকতে মেয়েদের রোজ ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
৬. হৃদয়ের সুরক্ষায়
হার্টই তো আমাদের সব।তাই একে সুস্থ তো রাখতেই হবে।এক সমীক্ষায় জানা গেছে যে ডিম হার্টে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না।তাই হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোক কম হয় নিয়মিত ডিম খেলে।এর পাশাপাশি সারা শরীরেই রক্ত চলাচল সচল আর স্বাভাবিক রাখে।
৭. কোলেস্টেরলের জন্য
আজকাল কোলেস্টেরল নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত নেই।আমরা সবসময় ভাবি কোলেস্টেরল কিভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখব।অনেকে আবার বলেন ডিম নাকি কোলেস্টেরল বাড়ায়।একদমই না।বরং ডিম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।ডিমে থাকা ওমেগা ৩ এই কাজটি করতে সাহায্য করে।আবার ডিম এইচ.ডি.এল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় প্রায় ১০%।
৮. লিপিড প্রোফাইল ঠিক রাখতে
ডিম লিপিড প্রোফাইলও নিয়ন্ত্রণে রাখে।কোনো বাজে প্রভাব ফেলে না।আর তাছাড়া ডিম লোহিত রক্তকণিকা বাড়াতেও সাহায্য করে।তাই রোজ নিয়ম করে ডিম খান।
৯. কোলাইনের উৎস
আমাদের শরীরের সার্বিক সুস্থতায় কোলাইন আমাদের খুবই প্রয়োজন।কোলাইনের ঘাটতি হলে লিভারের নানান সমস্যা বা নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার হয়ে থাকে।ডিমে প্রায় ৩০০-৩৫০ মাইক্রোগ্রাম কোলাইন থাকে।তাই ডিম খেলে লিভার,স্নায়ু,যকৃৎ সব ভালো থাকে।
১০. অ্যামিনো অ্যাসিডের উৎস
আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন যে খুব দরকারী তা তো আমরা জানিই।কিন্তু এটা কি জানেন যে এই প্রোটিনের মূল উৎস কি?সেটা হল অ্যামিনো অ্যাসিড।প্রোটিন তৈরিতে প্রায় একুশ ধরণের অ্যামাইনো অ্যাসিড লাগে।