মিলছে না বরাত, অস্থিত্ব সংকটে শোলা শিল্পীরা

থিম পূজোর প্রচলন শুরু হতেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন শোলা শিল্পীরা। অস্থিত্ব সংকটে ধুঁকতে শুরু করেছে চিরাচরিত এই শিল্প। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন শিল্পীরা। বরাত মিলছে না বললেই চলে। হাতে গোনা সামান্য কিছু বরাত পেলেও লাভের অঙ্ক অমিল। স্বাভাবিকভাবেই ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে শিল্পীদের। সেক্ষেত্রে অনেকেই পেশা বদলে নিয়েছেন অনেক আগেই৷ কেউ কেউ আবার চিরাচরিত শিল্পকর্ম অটুট রাখতে এখনও শিল্প কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম সঞ্জয় মালাকার।

শহর শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় মালাকার। বিগত প্রায় ৩৫ বছর ধরে রি পেশায় যুক্ত তিনি। জানা গিয়েছে, আগে একটা সময় ছিল যখন পূজোর প্রাক্কালে নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজে মজে থাকতেন তিনি। কিন্তু থিম পূজোর প্রচলন শুরু হতেই ক্রমশ শোলা শিল্পের কদর কমতে শুরু করে। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমতে থাকে ব্যস্ততাও। এখন আর সেভাবে বরাত পান না। সামান্য কিছু বরাত পেলেও করোনা কালে লাভের অঙ্ক একরপ্রকার শূন্য। কেননা, করোনা পরিস্থিতিতে কাঁচামালের অভাব দেখা দিয়েছে। বেড়েছে দাম। যদিও শিল্প কর্মের কদর সেই তলানিতেই। ফলে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর জোগার। স্বাভাবিকভাবেই লাটে উঠতে চলেছে বংশ পরম্পরায় চলে আসা এই শোলা শিল্প।

সঞ্জয় মালাকার জানান, “একটা সময় ছিল যখন মন্ডপ সজ্জার জন্য শোলা শিল্পের কদর ছিল যথেষ্ট। কিন্তু এখন বাজার খুব খারাপ। তারওপর বাড়ছে জিনসপত্রের দাম। তিনি আরও বলেন, আগে শিলিগুড়ির বাইরে থেকে বরাত আসত। কিন্তু এবার করোনার দাপটে তা বন্ধ। শিল্পী কার্ড থাকা সত্ত্বেও সরকারের কোনো অনুদান পাইনি।”