বাংলাই ভারতবর্ষের একমাত্র শান্তিপূর্ণ জায়গা,গুজরাট ও উত্তরপ্রদেশের আইনশৃংখলার দিকে তাকান; মুখ্যমন্ত্রী

চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরের তৃতীয় দিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক অংশনেন। এদিনের বৈঠক মূলত দার্জিলিং, কালিম্পং এবং কোচবিহার জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে। এদিন এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বেশকিছু নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করার পাশাপাশি বেশকিছু প্রকল্পের কাজ কর্মের মূল্যায়ন করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করেন। একই সাথে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য 104 একর জমি এদিন মুখ্যমন্ত্রী বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অর্থাৎ জিটিএ এর উন্নয়ন খাতে 150 কোটিটাকা বরাদ্দ করেন। জিটিএ কে আরো 25 কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে এদিন ঘোষণা করা হয়।

অন্যদিকে এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বারবার বলে উত্তরবঙ্গে কোনো উন্নয়ন হয়নি উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত তারই উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন চায় না। যারা এই কথাগুলো বলে তাদের স্বার্থ হল উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন না দেখা তাদের স্বার্থ হল নিজেদের রাজনীতি করা। একই সাথে এদিনের এই বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন যারা বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন তারা একবার উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাটের দিকে তাকান, বাংলাই একমাত্র ভারতবর্ষের শান্তিপূর্ণ জায়গা। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন এখানে মাঝেমধ্যে কোচবিহারের কাছে বর্ডার এলাকায় গন্ডগোল করে নয়তো বিএসএফকে দিয়ে গুলি চালিয়ে দেয়। বিএসএফকে দিয়ে ইন্টিরিয়ার এলাকাগুলিতে মানুষকে চমকানো হয়। এদিন তিনি এই বৈঠক থেকে জনপ্রতিনিধিদের বলেন এই বিষয়গুলিকে নজর রাখতে।

একইসঙ্গে এদিনের এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারকে এক হাত নিয়ে বলেন, কেউ কেউ দিল্লি থেকে এসে বলছে সবুজ সাথী সাইকেল নাকি কেন্দ্র সরকার দিয়েছে, দিলাম আমরা আর নাম হল ওদের, রেশন দিচ্ছি আমরা আর পার্টি অফিসে লিখছে রেশন দিচ্ছে ওরা। আবার সে চাল চুরি হয়ে যাচ্ছে। শুধু মিথ্যে প্রচার আর রাজনীতি। একই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন টাকা থাকলে দু’চারটে চ্যানেলকে দিয়ে মিথ্যে নিউজ করানো যায় তবে সবাই নয় বর্তমানে যা দেখছেন তা তো সবটাই একপক্ষ, এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য।

এছাড়াও এদিনের এই বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের সমস্ত থানার আইসি ও ওসি এবং বিডিওদের নির্দেশ দেন সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশি করে নজর রাখা। কোথাও মিথ্যা প্রচার হলে তৎক্ষণাৎ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার।