ড্রোন, আমন্ত্রণ কার্ডে বার কোড, ভূমিপুজোর জন্য তৈরি অযোধ্যা
রাত পোহালেই রামমন্দিরের ভূমিপূজন। তার আগে কঠোর নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। সবরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামলতে তৈরি পুলিশ, প্রশাসন। মঙ্গলবারই হনুমানগড়িতে হয়েছে রামভক্ত হনুমানের বিশেষ পুজো। প্রথা অনুসারে হয়েছে নিশান পুজো। মন্দির নির্মাণের আগে দেবতাকে তুষ্ট করার জন্য এই পুজো হয়। জনশ্রুতি, ১৭০০ বছর ধরে নিশান পুজো হয়ে আসছে এখানে। নিশানপুজোর পর শুরু হয় রামার্চন পুজো। অযোধ্যার ডিআইজি দীপক কুমার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রান্ত সব স্বাস্থ্যবিধি কড়াভাবে পালন করা হবে। থাকবেন কোভিড যোদ্ধারাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মোট তিন ঘণ্টা থাকবেন অযোধ্যায়। সাড়ে বারোটায় হবে ভূমিপূজন। কোনও অবস্থাতেই পাঁচজনের বেশি এক জয়াগায় জড়ো হতে পারবেন না। স্থানীয় লোকজনের চলাচলে বাধা না থাকলেও বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত। তবে অযোধ্যার বাসিন্দাদের বাইরে না বেরোতে অনুরোধ করা হযেছে। ভিআইপিদের যাত্রাপথে থাকছে ড্রোন। সর্বত্র বসানো হয়েছে ব্যারিকেড। আমন্ত্রিত প্রত্যেকের কার্ডে থাকছে আলাদা বারকোড। একবার ঢুকলে বেরোনো যাবে না। সকাল সাড়ে ১১টায় হেলিকপ্টারে মোদি আসছেন অযোধ্যায়। ১১টা ৪০ মিনিটে হনুমানগড়িতে ১০ মিনিটের পুজো, রামজন্মভূমিতে পৌঁছবেন ১২টায়। রামলাল্লা বিরাজমান দর্শন ১০ মিনিটের জন্য। সওয়া ১২টায় পারিজাত চারা রোপন। সাড়ে বারোটায় ভূমিপূজন শুরু। ১২টা ৪০ মিনিটে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। অন্যদিকে, রামমন্দিরের কথা মাথায় রেখে বদল হচ্ছে অযোধ্যা স্টেশন। ১০৫ কোটি টাকা দিয়ে সাজছে এই স্টেশন। আধুনিকীকরণের সব ব্যবস্থা থাকবে। অযোধ্যার ইতিহাস ও নানা পৌরাণিক কাহিনির ম্যুরাল থাকবে এখানে। কেমন হবে সেই স্টেশন? তার ঝলক প্রকাশ করল ভারতীয় রেল।