কিডনি ভালো রাখতে হলে

মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। এর অন্যতম প্রধান কাজ হচ্ছে শরীর থেকে পরিপাক প্রক্রিয়ার বর্জ্য অপসারণ করা এবং লোহিত রক্তকণিকার ভারসাম্য রক্ষা করা। কোনও কারণে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীর অকেজো হয়ে পড়ে। এ কারণে কিডনি সুস্থ রাখতে কিছু বিষয় অনুসরণ করতে পারেন। যেমন- ১. মদ্যপান কিডনির জন্য সব চাইতে বেশি ক্ষতিকর। এটি কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে অঙ্গটি নষ্ট করে দেয়। অতিরিক্ত মদ্যপানের জন্য লিভার সিরোসিসের মতো মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হন অনেকেই। তাই কিডনি সুস্থ রাখতে মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। ২. কিডনির সুরক্ষার জন্য সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জল। অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান না। এতে কিডনির ওপর অনেক বেশি পরিমাণে চাপ পড়ে এবং কিডনি সাধারণ কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনি ভালো রাখতে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে ৬-৮ গ্লাস জল পান করা অত্যন্ত জরুরি। এ কারণে বাইরে বের হলেও সবসময় জলের বোতল সঙ্গে রাখুন। ৩. অনেকের বাড়তি নুন খাওয়ার বাজে অভ্যাস রয়েছে। খেতে বসে প্লেটে আলাদা করে নুন নিয়ে খান অনেকেই। কিন্তু এই অনিয়মের কারণে অনেক বেশি ক্ষতি হয় কিডনির। অতিরিক্ত সোডিয়াম দেহ থেকে বের করতে পারে না যন্ত্রটি । ফলে বাড়তি নুনের সোডিয়ামটুকু রয়ে যায় কিডনিতেই। এতে কিডনি ড্যামেজ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এ কারণে বাড়তি নুন খাওয়া ছেড়ে দিন। ৪.অনেকেই সামান্য ব্যথা পেলে ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে মাথাব্যথার কারণে অনেকেই এই কাজটি বেশি করেন। কিন্তু এটি কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যথানাশক ওষুধ কিডনির কোষগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ভুলেও কোনও ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। ৫. অনেকেই শাকসবজি ও মাছ বাদ দিয়ে শুধু মাংসের উপর নির্ভর করে থাকেন। এই অনিয়মটিও কিডনির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কিডনির সুরক্ষার জন্য মাছ ও শাকসবজি অনেক বেশি জরুরি। অতিরিক্ত মাংস খাওয়া কিডনির কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই এ ধরনের অভ্যাস থাকলে তা বদলে ফেলুন।